দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে হৃদয় গভীরে নাটকটি। বর্তমানে এটি সামাজিক প্লাটফর্ম ইউটিউবের ভিউজে শীর্ষে রয়েছে। নাটকটি আপলোড হওয়ার একদিনে তা দেখেছে ১০ লাখ দর্শক। নাটকটি এমন এক গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে ভালবাসা, আবেগের টানাপড়েন এবং প্রাত্যহিক জীবনের সম্পর্কের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করা হয়েছে।
হৃদয় গভীরে নাটকটির পরিচালক হলেন রুবেল হাসান। চিত্রনাট্যকর মেজবাহ উদ্দিন সুমন এবং প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান (রাফীন) ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী (রাহা)। কেমিস্ট্রি নাটকের পুরোটা জুড়েই অনবদ্য। তাদের নিষ্পাপ ভালোবাসা বুকের ভেতর গভীরতা সৃষ্টি করে। আস্তে আস্তে যখন গল্প এগিয়ে চলে তখন উপলব্ধি করা যায় প্রতিদিনের জীবনের সমস্ত দিক ভালোবাসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় না। পরিবারিক দায়িত্বের বোঝা, বিভিন্ন পরিস্থিতি এবং আশেপাশের মানুষের প্রভাব এই মিলিত প্রভাবগুলিই কখনও কখনও সম্পর্কের পথকে আরও জটিল করে তোলে।
নাটকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো এখানে ভালোবাসা শুধুমাত্র স্বপ্নিল রঙে আঁকা হয়নি বরং এর সংগ্রামের মুহূর্ত, আত্মত্যাগের প্রয়োজনীয়তা এবং বাস্তবতার কঠিন স্থানগুলোও নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নাটকের প্রতিটি মুহূর্তগুলো দর্শকদের এগিয়ে যেসব বিষয়ের মাধ্যমে চিন্তায় নিমজ্জিত করে তা একটি নীরব ব্যথার সৃষ্টি করে, যা নাটক শেষ হওয়ার পরেও মন থেকে যেন সরানো যায় না।
তাই যারা সম্পর্কে জটিলতা, আবেগের ঘূর্ণাবর্তা এবং জীবনের বিভিন্ন কঠোর সিদ্ধান্তে গল্পে আগ্রহীদের জন্য এই নাটকটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে থাকবে এটি শুধু নাটক নয় বরং একটি আবেগপূর্ণ গল্পের ভ্রমণ। পরিচালক রুবেল হাসানের এই নাটকটি প্রশংসার দাবিদার।

